সারা বাড়িতে আমি শুধু একা। কখনও ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে ঠায় দাড়িয়ে থাকি , কখনও বা টিভির সামনে বসে থাকি। আবার কখনও বা শৈশবে ফিরে গিয়ে মেয়ের চকলেট, ওয়েফার খাই ; কখনও বা সেজে গুজে মা দূর্গার ডাকাত মূর্তির নাচ করি , কখনও বা নিজের অজান্তেই অঝড় ধারায় কেঁদে চলি। এভাবেই কেটে যায় আমার দিনের অর্ধেকটা বেলা। আমার কোনও অনুযোগ বা অভিযোগ নেই কারও বিরুদ্ধে। আমার কার্যত কোনো উৎপাদনশীল খাতে অংশগ্রহণ ও নেই। আমি নিজেই হয়তো পুঁজিবাদি সমাজের পিত্রিতান্ত্রিক প্রথার একটি উৎপাদন। দূঃখ একটাই রাতে ঘুমোতে যাবার সময় নিজের কাছে করা হাজার হাজার প্রশ্নের উত্তর আমি খুজে পাইনা। আমি কে?কার?- সন্তানের,স্বামীর ,পিতা মাতার নাকি একান্তই নিজের আমার আমি? আমি কি ? মানবিক বোধ সম্বপ্ন মানুষ নাকি মানবিক বোধহীন মানুষ রূপি প্রানী? আমি কি দশভূজা নাকি অসম্পূর্না? আমি কি স্বামীটির সদৃশ্য সৃষ্টি –যে কিনা স্বামীর সকল দায়িত্ব সুনিপুন ভাবে সম্পন্ন করবে? আর স্বামীটির চোখ দিয়ে পৃথিবীটাকে দেখবে? কেনই বা বিয়ের সময় বাবার বাড়িতে ফেলে আসা ব্যক্তিত্ব বোধ টি এ বাড়িতে রাতের আধারে এসে হানা দেয়? আমার ভোতা হয়ে যাওয়া অনুভূতি গুলিকে কেনই বা জাগিয়ে তোলে ? কেন আমায় জানায় সব সম্পর্কের/পরিচয়ের উর্ধে আামি একজন মানুষ! কেন নিজের উপর আমার সত্বার কোনও নিয়ন্ত্রন নেই? এসব ভাবতে ভাবতেই গভীর রাতে আমার একক বৈঠক অমিমাংশিত অবস্থাতেই শেষ হয়। রাত শেষে আবার শুরু হয় পুরোনো একটি সকালের পুনরাবৃত্তি। কালের গর্ভে আবারও হারিয়ে যায় আমার আমি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।